
বরিশালের গৌরনদীতে গভীর রাতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লেন এক মসজিদের ইমাম ও এক প্রবাসীর স্ত্রী। স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়ার পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় তাদের।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে। অভিযুক্তরা হলেন মো. মাইনুল ইসলাম পলাশ ফকির (২৬) এবং সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ঝুমুর খানম (২৫)।
পলাশ ফকির গৌরনদী উপজেলার ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি এবং বদরপুর মুসুল্লিবাড়ী জামে মসজিদের ইমাম। তার বাড়ি উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম শোলক গ্রামে। তিনি শাহ আলম ফকিরের ছেলে।
গভীর রাতে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে গৌরনদী থানার এসআই জুলেল হাওলাদারের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনূস মিয়া জানিয়েছেন, স্থানীয়রা কেউ বাদী না হওয়ায় পুলিশ নিজে বাদী হয়ে পেনাল কোড ২৯০ ধারায় মামলা করেছে। এতে ‘অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ করে জনমনে বিরক্তি সৃষ্টির’ অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একজন মসজিদের ইমাম, যিনি ধর্মীয় বিধান শেখানোর দায়িত্বে ছিলেন, সেই তিনিই এমন কাণ্ডে জড়িয়ে পড়লেন! আরেকদিকে, স্বামী বিদেশে শ্রম দিচ্ছেন, সংসার চালাচ্ছেন, অথচ স্ত্রী এমন অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন!
এই ঘটনা শুধুমাত্র ব্যক্তি চরিত্রের অধঃপতন নয়, বরং সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয়ের এক নগ্ন চিত্র। এমন ঘটনাগুলো বারবার আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, ধর্মীয় লেবাস পরলেই কেউ ভালো মানুষ হয় না, চরিত্রটাই আসল পরিচয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে—এই ধরনের অপরাধের কী কঠোর বিচার হবে? নাকি আমরা কিছুদিন পরই আবার এমন ঘটনা দেখতে পাব?