Dhaka , মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা – আটক ১ চা বাগান শ্রমিক সর্দার হত্যার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ভাটেরা আল মদিনা সুন্নি পরিষদের উদ্যোগে বার্ষিক মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত আদমপুর ইউনাইটেড কলেজ বাস্তবায়নের সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। আদমপুর ইউনাইটেড কলেজ বাস্তবায়নের সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কমলগঞ্জে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কুমারী পুজা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস এর দাওয়াতী মজলিস অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় বালু উত্তোলনে চুক্তি ভঙ্গ, ইজারাদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা  কুলাউড়ায় সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশনের নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা 

গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে মসজিদের ইমাম আটক!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • ৪৫ Time View

গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে মসজিদের ইমাম আটক!

বরিশালের গৌরনদীতে গভীর রাতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লেন এক মসজিদের ইমাম ও এক প্রবাসীর স্ত্রী। স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়ার পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় তাদের।

 

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে। অভিযুক্তরা হলেন মো. মাইনুল ইসলাম পলাশ ফকির (২৬) এবং সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ঝুমুর খানম (২৫)।

 

পলাশ ফকির গৌরনদী উপজেলার ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি এবং বদরপুর মুসুল্লিবাড়ী জামে মসজিদের ইমাম। তার বাড়ি উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম শোলক গ্রামে। তিনি শাহ আলম ফকিরের ছেলে।

 

গভীর রাতে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে গৌরনদী থানার এসআই জুলেল হাওলাদারের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

 

গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনূস মিয়া জানিয়েছেন, স্থানীয়রা কেউ বাদী না হওয়ায় পুলিশ নিজে বাদী হয়ে পেনাল কোড ২৯০ ধারায় মামলা করেছে। এতে ‘অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ করে জনমনে বিরক্তি সৃষ্টির’ অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

একজন মসজিদের ইমাম, যিনি ধর্মীয় বিধান শেখানোর দায়িত্বে ছিলেন, সেই তিনিই এমন কাণ্ডে জড়িয়ে পড়লেন! আরেকদিকে, স্বামী বিদেশে শ্রম দিচ্ছেন, সংসার চালাচ্ছেন, অথচ স্ত্রী এমন অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন!

 

এই ঘটনা শুধুমাত্র ব্যক্তি চরিত্রের অধঃপতন নয়, বরং সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয়ের এক নগ্ন চিত্র। এমন ঘটনাগুলো বারবার আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, ধর্মীয় লেবাস পরলেই কেউ ভালো মানুষ হয় না, চরিত্রটাই আসল পরিচয়।

 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে—এই ধরনের অপরাধের কী কঠোর বিচার হবে? নাকি আমরা কিছুদিন পরই আবার এমন ঘটনা দেখতে পাব?

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

কুলাউড়ায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা – আটক ১

গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে মসজিদের ইমাম আটক!

Update Time : ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

বরিশালের গৌরনদীতে গভীর রাতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লেন এক মসজিদের ইমাম ও এক প্রবাসীর স্ত্রী। স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়ার পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় তাদের।

 

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে। অভিযুক্তরা হলেন মো. মাইনুল ইসলাম পলাশ ফকির (২৬) এবং সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ঝুমুর খানম (২৫)।

 

পলাশ ফকির গৌরনদী উপজেলার ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি এবং বদরপুর মুসুল্লিবাড়ী জামে মসজিদের ইমাম। তার বাড়ি উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম শোলক গ্রামে। তিনি শাহ আলম ফকিরের ছেলে।

 

গভীর রাতে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে গৌরনদী থানার এসআই জুলেল হাওলাদারের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

 

গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনূস মিয়া জানিয়েছেন, স্থানীয়রা কেউ বাদী না হওয়ায় পুলিশ নিজে বাদী হয়ে পেনাল কোড ২৯০ ধারায় মামলা করেছে। এতে ‘অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ করে জনমনে বিরক্তি সৃষ্টির’ অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

একজন মসজিদের ইমাম, যিনি ধর্মীয় বিধান শেখানোর দায়িত্বে ছিলেন, সেই তিনিই এমন কাণ্ডে জড়িয়ে পড়লেন! আরেকদিকে, স্বামী বিদেশে শ্রম দিচ্ছেন, সংসার চালাচ্ছেন, অথচ স্ত্রী এমন অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন!

 

এই ঘটনা শুধুমাত্র ব্যক্তি চরিত্রের অধঃপতন নয়, বরং সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয়ের এক নগ্ন চিত্র। এমন ঘটনাগুলো বারবার আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, ধর্মীয় লেবাস পরলেই কেউ ভালো মানুষ হয় না, চরিত্রটাই আসল পরিচয়।

 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে—এই ধরনের অপরাধের কী কঠোর বিচার হবে? নাকি আমরা কিছুদিন পরই আবার এমন ঘটনা দেখতে পাব?