Dhaka , সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ বাহারের মৃত্যুতে আব্দুল করিম নিপুর শোক প্রকাশ নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশনের মৌলভীবাজার জেলা শাখার নেতৃবৃন্দদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার অভিষেক ও আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত ভাটেরা মদিনাতুল উলুম সাইফুল তাহমিনা ফাযিল মাদরাসা তালামীযের কাউন্সিল সম্পন্ন কুলাউড়ায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুলাউড়ায় ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন কমলগঞ্জে নজরানা ট্রাস্টের সার্বিক সহযোগিতায় ও বন্ধনের উদ্যোগে “ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত সাংবাদিক মাহফুজ শাকিলের পিতার দাফন সম্পন্ন শ্রীপুর জালালিয়া কামিল (এম এ) মাদ্রাসায় কামিল শ্রেণির অনুমোদন উদযাপনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জ সামাজিক সংগঠন ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময়

আবারো সাভারে চলন্ত বাসে ছিনতাই

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৫০ Time View

আবারো সাভারে চলন্ত বাসে ছিনতাই

 

 

শুক্রবার, ১১ এপ্রিল। দুপুরবেলা। রাজধানীর খুব কাছেই—সাভারের ব্যস্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। চারপাশে চলছিল দৈনন্দিন কোলাহল, ব্যস্ততা। অথচ সেই ব্যস্ততার মাঝেই ঘটে গেল একের পর এক চরম ভয়াবহ ঘটনা—একই দিনে, একই মহাসড়কে দুটি বাসে ছিনতাই।

 

প্রথম ঘটনাটি ঘটে বেলা ১২টার দিকে। যাত্রীবেশে কিছু ছিনতাইকারী উঠে পড়েন সাভার পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে। মুহূর্তেই তারা দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলেন। আতঙ্কিত যাত্রীদের কাছ থেকে কেড়ে নেন নগদ টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র।

 

কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে আরেক ভয়াল হামলা। এবার রাজধানী পরিবহন নামের বাসে। সিএন্ডবি এলাকায় তিন ছিনতাইকারী হঠাৎ বাসে উঠে যাত্রীদের ঘিরে ধরেন। হাতে ধারালো অস্ত্র। চোখেমুখে হিংস্রতা। কয়েক মিনিটেই তারা যাত্রীদের কাছ থেকে লুটে নেয় সঞ্চিত স্বর্ণ, টাকা-পয়সা।

 

দিনের আলো থাকতে এভাবে চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা কেবল ভয়ঙ্করই নয়, এটি এক ভয়াবহ বার্তা—আমরা কেউ নিরাপদ নই।

 

যাত্রীরা বলছেন,

“বাসে ওঠা এখন মানেই ভয় নিয়ে যাত্রা। এই মহাসড়ক তো যেন ডাকাতের রাজত্ব হয়ে গেছে!”

 

খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও, এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। এমনকি গণমাধ্যমের একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরও ওসি জুয়েল মিয়া ফোন রিসিভ করেননি।
এই নিস্পৃহতা, এই নিরবতা—পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বহীনতাকেই যেন নগ্নভাবে প্রকাশ করে।

 

এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের এই এলাকাতেই বেশ কয়েকবার চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ছিনতাই হয়েছে। কিন্তু কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো? কীভাবে প্রতিরোধ হলো? প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

 

দিনে-দুপুরে, জনবহুল এলাকায়, পুলিশের চোখের সামনে এমন ঘটনা—এ কি তাহলে নতুন কোনো অপরাধচক্রের উদয়?

নাকি এই অঞ্চল এখন অজানা কোনো গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণে?

 

কোথায় পুলিশি টহল? কোথায় রুটিন চেকিং?

 

🗣️ যাত্রীদের আহ্বান—”আমরা নিরাপত্তা চাই, ভয় নয়”
একজন যাত্রী কাঁপা গলায় বলেন,

“জীবিকার জন্য বাসে উঠি, অথচ ফিরতে পারব কি না তা জানি না। এটা কি আমাদের রাজধানীর পাশের সড়ক? নাকি কোনো ভয়াবহ ক্রাইম জোন?”

 

💔 এই ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে—শুধু রাস্তায় নামলেই চলবে না, এখন বেঁচে ফিরতে পারাটাও একটা যুদ্ধ।
আসামিদের গ্রেপ্তার, কঠোর শাস্তি এবং নিয়মিত টহল ছাড়া এই ভয়াবহতা থামবে না।

 

🔴 নইলে ‘সড়ক’ নামটা শুধু যাত্রার প্রতীক নয়, হয়ে উঠবে মৃত্যু ও আতঙ্কের আরেক নাম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ বাহারের মৃত্যুতে আব্দুল করিম নিপুর শোক প্রকাশ

আবারো সাভারে চলন্ত বাসে ছিনতাই

Update Time : ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

 

 

শুক্রবার, ১১ এপ্রিল। দুপুরবেলা। রাজধানীর খুব কাছেই—সাভারের ব্যস্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। চারপাশে চলছিল দৈনন্দিন কোলাহল, ব্যস্ততা। অথচ সেই ব্যস্ততার মাঝেই ঘটে গেল একের পর এক চরম ভয়াবহ ঘটনা—একই দিনে, একই মহাসড়কে দুটি বাসে ছিনতাই।

 

প্রথম ঘটনাটি ঘটে বেলা ১২টার দিকে। যাত্রীবেশে কিছু ছিনতাইকারী উঠে পড়েন সাভার পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে। মুহূর্তেই তারা দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলেন। আতঙ্কিত যাত্রীদের কাছ থেকে কেড়ে নেন নগদ টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র।

 

কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে আরেক ভয়াল হামলা। এবার রাজধানী পরিবহন নামের বাসে। সিএন্ডবি এলাকায় তিন ছিনতাইকারী হঠাৎ বাসে উঠে যাত্রীদের ঘিরে ধরেন। হাতে ধারালো অস্ত্র। চোখেমুখে হিংস্রতা। কয়েক মিনিটেই তারা যাত্রীদের কাছ থেকে লুটে নেয় সঞ্চিত স্বর্ণ, টাকা-পয়সা।

 

দিনের আলো থাকতে এভাবে চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা কেবল ভয়ঙ্করই নয়, এটি এক ভয়াবহ বার্তা—আমরা কেউ নিরাপদ নই।

 

যাত্রীরা বলছেন,

“বাসে ওঠা এখন মানেই ভয় নিয়ে যাত্রা। এই মহাসড়ক তো যেন ডাকাতের রাজত্ব হয়ে গেছে!”

 

খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও, এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। এমনকি গণমাধ্যমের একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরও ওসি জুয়েল মিয়া ফোন রিসিভ করেননি।
এই নিস্পৃহতা, এই নিরবতা—পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বহীনতাকেই যেন নগ্নভাবে প্রকাশ করে।

 

এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের এই এলাকাতেই বেশ কয়েকবার চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ছিনতাই হয়েছে। কিন্তু কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো? কীভাবে প্রতিরোধ হলো? প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

 

দিনে-দুপুরে, জনবহুল এলাকায়, পুলিশের চোখের সামনে এমন ঘটনা—এ কি তাহলে নতুন কোনো অপরাধচক্রের উদয়?

নাকি এই অঞ্চল এখন অজানা কোনো গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণে?

 

কোথায় পুলিশি টহল? কোথায় রুটিন চেকিং?

 

🗣️ যাত্রীদের আহ্বান—”আমরা নিরাপত্তা চাই, ভয় নয়”
একজন যাত্রী কাঁপা গলায় বলেন,

“জীবিকার জন্য বাসে উঠি, অথচ ফিরতে পারব কি না তা জানি না। এটা কি আমাদের রাজধানীর পাশের সড়ক? নাকি কোনো ভয়াবহ ক্রাইম জোন?”

 

💔 এই ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে—শুধু রাস্তায় নামলেই চলবে না, এখন বেঁচে ফিরতে পারাটাও একটা যুদ্ধ।
আসামিদের গ্রেপ্তার, কঠোর শাস্তি এবং নিয়মিত টহল ছাড়া এই ভয়াবহতা থামবে না।

 

🔴 নইলে ‘সড়ক’ নামটা শুধু যাত্রার প্রতীক নয়, হয়ে উঠবে মৃত্যু ও আতঙ্কের আরেক নাম।