
মাওলানা মুফতি সদর উদ্দিন সিদ্দিকী:
ইসলামে জু’মআর দিনকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে, এই দিনেই হজরত আদম (আ.) সৃষ্টি হয়েছেন, জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং পৃথিবীতে প্রেরিত হয়েছেন। আবার কিয়ামতও সংঘটিত হবে জু’মআর দিনেই।
ধর্মীয় সূত্রে জানা যায়, জু’মআর নামাজ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। এদিন মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হন এবং সামাজিক সংহতি সুদৃঢ় হয়। কুরআনে বলা হয়েছে— “হে ঈমানদারগণ! যখন জু’মআর দিনের নামাজের জন্য আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ কর।” (সুরা জুমআ: ৯)
এদিন গোসল করা, পরিষ্কার পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার, সূরা কাহফ তিলাওয়াত এবং বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা সুন্নত আমল হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। হাদিসে আছে— যে ব্যক্তি জু’মআর দিনে সূরা কাহফ তিলাওয়াত করবে, তার জন্য দুই জু’মআর মাঝের সময় আলো বিকিরণ করবে।
ইসলামি আলেমরা বলেন, জু’মআর দিন শুধু সাপ্তাহিক ছুটি নয়, বরং এটি ইবাদত, বরকত ও রহমতের দিন। এদিনের ইবাদত যথাযথভাবে আদায় করলে দুনিয়া ও আখেরাত উভয়ের কল্যাণ লাভ সম্ভব।

মাওলানা মুফতি সদর উদ্দিন সিদ্দিকী 














