Dhaka , সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ বাহারের মৃত্যুতে আব্দুল করিম নিপুর শোক প্রকাশ নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশনের মৌলভীবাজার জেলা শাখার নেতৃবৃন্দদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার অভিষেক ও আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত ভাটেরা মদিনাতুল উলুম সাইফুল তাহমিনা ফাযিল মাদরাসা তালামীযের কাউন্সিল সম্পন্ন কুলাউড়ায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুলাউড়ায় ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন কমলগঞ্জে নজরানা ট্রাস্টের সার্বিক সহযোগিতায় ও বন্ধনের উদ্যোগে “ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত সাংবাদিক মাহফুজ শাকিলের পিতার দাফন সম্পন্ন শ্রীপুর জালালিয়া কামিল (এম এ) মাদ্রাসায় কামিল শ্রেণির অনুমোদন উদযাপনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জ সামাজিক সংগঠন ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময়

ড. সাইফুল আলম চৌধুরীর কুলাউড়া বিএনপি’তে নতুন মোড়:মনোনয়ন প্রত্যাশী

স্টাফ রিপোর্টার:

আসন্ন ১৩ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুলাউড়া বিএনপি’তে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী নেতা ড. সাইফুল আলম চৌধুরী। দীর্ঘ ৪৫ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দেশে বিদেশে ও তৃণমূলের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে তিনি কুলাউড়া আসনে সংসদ সদস্য পদে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।
​ড. সাইফুল আলম চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৮১ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাহিত‍্য ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়ীত্ব দিয়ে । পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি লেখাপড়ায় ও ছিলেন খুবই মনোযোগী ।মেধাবী এই ছাত্রনেতা জীবনের প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন । তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে গনিতে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৯১ সালের এপ্রিলে এই কুলাউড়া ডিগ্রী কলেজে গণিত বিভাগের প্রভাষকের দায়িত্ব পান এবং এর পরপরই অবিভক্ত কুলাউড়া উপজেলা ( তখন ১৭ টি ইউনিয়ন) বিএনপির কাউন্সিলর দের সরাসরি গোপন ব‍্যলটের মাধ্যমে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ।
তিনির প‍্যানেল তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের মেম্বার ( এম এল এ ) নবাব আলী ইয়াওর খানের নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী প্যানেলকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে চমক সৃষ্টি করেন।
​তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কুলাউড়ার উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখেন। স্থানীয়দের মতে, মাত্র আড়াই বছরে তাঁর সময়ে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছিল, তা শত বছরেও কেউ করতে পারেনি।
​বিসিএস পরীক্ষার বিভিন্ন ধাপে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯৩ সালের অক্টোবর মাসে সরকারি চাকরি হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ও পরে
এম সি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সিলেট প্রায় ৬ বছর অধ‍্যাপনা করার পর যুক্তরাজ্যে পাড়ি দেন। সেখানে গিয়েও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিজিসিই ডিগ্রী সম্পন্ন করে শিক্ষকতার চাকুরীকেই পেশা হিসেবে বেচে নেন। তিনির নেতৃত্বে ১৯৯৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী কুলাউড়া
নবীন চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে এক সফল রাজনৈতিক সমাবেশ হয় । মেডাম অনেক গুলো উন্নয়ন মূলক কাজের ঘোষনা হয় । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কুলাউড়া নবাবগঞ্জ বাজার পুসাইনগর ফরিদপুর সাদেকপুর সড়ক । সেই সমাবেশের পর থেকে অধ্যাপক সাইফুলের জনপ্রিয়তা অনেকগুন বেড়ে যায় । ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মরহুম এম সাইফুর রহমান সাহেব তিনি কে এম পি মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই সময়ে তা গ্রহন করেন নি উনার মায়ের কথা রক্ষার্থে । তিনির মা বলেছিলেন সরকারী চাকুরী কিছু দিন করে আরও বয়স হলে পরে রাজনীতিতে আসতে। তিনির বয়স ছিল তখন ২৯ বছর ।
তিনি লন্ডনে চলে গেলেও কুলাউড়ার মানুষের প্রতি তাঁর মমত্ববোধ ও গভীর ভালোবাসা কোনো দিন শেষ হয় নি এবং হবে ও না । তিনি বলেন ১৯৯৩ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে কুলাউড়া ডাকবাংলোর মাঠে জনসভায় করে রাজনীতি থেকে সাময়িক বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং ঐ দিন এও বলেছিলেন যে আমি আপনাদের মাঝে আবার ফিরে আসব ২০/২৫ বছর পরে। তখন কুলাউড়ার মানুষের চোখের যে জল দেখেছিলেন তিনি আজও সেই কান্না দেখতে পান। তাই শিক্ষকতার চাকুরী থেকে ইস্তফা দিয়ে চলে আসেন নিজের জন্মভূমি কুলাউড়া মানুষের সুখে দুঃখে তাদের সাথী হতে। তিনি লন্ডনে থাকলে ও কুলাউড়ার মানুষকে ভূলে যান নি এক মূহুর্তের জন‍্য। সেখান থেকে কুলাউড়ার মানুষ
তাঁকে বারবার এলাকায় ফিরিয়ে এনেছে।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি সংসদ সদস্য পদে দলের মনোনয়নের বিষয়ে তার দৃঢ় ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তিনি আশাবাদী, দলের মনোনয়ন পেলে কুলাউড়ার মানুষের ভালোবাসায় তিনি নিশ্চিতভাবে বিজয়ী হবেন।
​বিভিন্ন সূত্রে খবর নিয়ে জানা গেছে, কুলাউড়ার কয়েকটি এলাকায় ড. সাইফুল আলম চৌধুরীর জনপ্রিয়তা অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীর চেয়ে বেশি। এ কারণে রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে যে, তিনি দলের মনোনয়ন দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন।
​বার্তার শেষে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেছেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম আনুগত্য প্রকাশ করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ বাহারের মৃত্যুতে আব্দুল করিম নিপুর শোক প্রকাশ

ড. সাইফুল আলম চৌধুরীর কুলাউড়া বিএনপি’তে নতুন মোড়:মনোনয়ন প্রত্যাশী

Update Time : ০১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:

আসন্ন ১৩ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুলাউড়া বিএনপি’তে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী নেতা ড. সাইফুল আলম চৌধুরী। দীর্ঘ ৪৫ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দেশে বিদেশে ও তৃণমূলের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে তিনি কুলাউড়া আসনে সংসদ সদস্য পদে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।
​ড. সাইফুল আলম চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৮১ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাহিত‍্য ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়ীত্ব দিয়ে । পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি লেখাপড়ায় ও ছিলেন খুবই মনোযোগী ।মেধাবী এই ছাত্রনেতা জীবনের প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন । তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে গনিতে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৯১ সালের এপ্রিলে এই কুলাউড়া ডিগ্রী কলেজে গণিত বিভাগের প্রভাষকের দায়িত্ব পান এবং এর পরপরই অবিভক্ত কুলাউড়া উপজেলা ( তখন ১৭ টি ইউনিয়ন) বিএনপির কাউন্সিলর দের সরাসরি গোপন ব‍্যলটের মাধ্যমে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ।
তিনির প‍্যানেল তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের মেম্বার ( এম এল এ ) নবাব আলী ইয়াওর খানের নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী প্যানেলকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে চমক সৃষ্টি করেন।
​তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কুলাউড়ার উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখেন। স্থানীয়দের মতে, মাত্র আড়াই বছরে তাঁর সময়ে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছিল, তা শত বছরেও কেউ করতে পারেনি।
​বিসিএস পরীক্ষার বিভিন্ন ধাপে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯৩ সালের অক্টোবর মাসে সরকারি চাকরি হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ও পরে
এম সি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সিলেট প্রায় ৬ বছর অধ‍্যাপনা করার পর যুক্তরাজ্যে পাড়ি দেন। সেখানে গিয়েও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিজিসিই ডিগ্রী সম্পন্ন করে শিক্ষকতার চাকুরীকেই পেশা হিসেবে বেচে নেন। তিনির নেতৃত্বে ১৯৯৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী কুলাউড়া
নবীন চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে এক সফল রাজনৈতিক সমাবেশ হয় । মেডাম অনেক গুলো উন্নয়ন মূলক কাজের ঘোষনা হয় । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কুলাউড়া নবাবগঞ্জ বাজার পুসাইনগর ফরিদপুর সাদেকপুর সড়ক । সেই সমাবেশের পর থেকে অধ্যাপক সাইফুলের জনপ্রিয়তা অনেকগুন বেড়ে যায় । ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মরহুম এম সাইফুর রহমান সাহেব তিনি কে এম পি মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই সময়ে তা গ্রহন করেন নি উনার মায়ের কথা রক্ষার্থে । তিনির মা বলেছিলেন সরকারী চাকুরী কিছু দিন করে আরও বয়স হলে পরে রাজনীতিতে আসতে। তিনির বয়স ছিল তখন ২৯ বছর ।
তিনি লন্ডনে চলে গেলেও কুলাউড়ার মানুষের প্রতি তাঁর মমত্ববোধ ও গভীর ভালোবাসা কোনো দিন শেষ হয় নি এবং হবে ও না । তিনি বলেন ১৯৯৩ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে কুলাউড়া ডাকবাংলোর মাঠে জনসভায় করে রাজনীতি থেকে সাময়িক বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং ঐ দিন এও বলেছিলেন যে আমি আপনাদের মাঝে আবার ফিরে আসব ২০/২৫ বছর পরে। তখন কুলাউড়ার মানুষের চোখের যে জল দেখেছিলেন তিনি আজও সেই কান্না দেখতে পান। তাই শিক্ষকতার চাকুরী থেকে ইস্তফা দিয়ে চলে আসেন নিজের জন্মভূমি কুলাউড়া মানুষের সুখে দুঃখে তাদের সাথী হতে। তিনি লন্ডনে থাকলে ও কুলাউড়ার মানুষকে ভূলে যান নি এক মূহুর্তের জন‍্য। সেখান থেকে কুলাউড়ার মানুষ
তাঁকে বারবার এলাকায় ফিরিয়ে এনেছে।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি সংসদ সদস্য পদে দলের মনোনয়নের বিষয়ে তার দৃঢ় ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তিনি আশাবাদী, দলের মনোনয়ন পেলে কুলাউড়ার মানুষের ভালোবাসায় তিনি নিশ্চিতভাবে বিজয়ী হবেন।
​বিভিন্ন সূত্রে খবর নিয়ে জানা গেছে, কুলাউড়ার কয়েকটি এলাকায় ড. সাইফুল আলম চৌধুরীর জনপ্রিয়তা অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীর চেয়ে বেশি। এ কারণে রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে যে, তিনি দলের মনোনয়ন দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন।
​বার্তার শেষে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেছেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম আনুগত্য প্রকাশ করেছেন।