ভোট শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার রেদোয়ান খান। এসময় ভোট কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনসহ জেলা বিএনপির অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মো: জয়নাল আবেদীন বাচ্চু ও মো: শওকতুল ইসলাম শকু। মোট ৯৩৫ ভোটারের মধ্যে ৪৯৩ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন মো: জয়নাল আবেদীন বাচ্চু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শওকতুল ইসলাম শকু পান ৪২৫ ভোট।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন চার প্রার্থী। এর মধ্যে ৩৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল জলিল জামাল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজিজুর রহমান মনির পান ৩৪৮ ভোট। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে মো: জয়নুল ইসলাম জুনেদ পান ৩৮ ভোট এবং মো: বদরুল হোসেন খান পান ১৭২ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিন প্রার্থী। এ পদে বদরুজ্জামান সজল ৩৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম আহমদ চৌধুরী পান ৩২৯ ভোট এবং সুফিয়ান আহমদ পান ১৯৯ ভোট।
সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ৪১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন কমর উদ্দিন আহমদ কমরু। এ পদে মইনুল হক বকুল পান ৩৩৮ ভোট, মো: সরওয়ার আলম বেলাল পান ১৬১ ভোট এবং দেলোয়ার হোসেন পান ২১৫ ভোট।
অন্যদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন পাঁচ প্রার্থী। এ পদে ৩২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মুক্তাদির মনু। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপার আহমদ পান ২৫৩ ভোট এবং দেলোয়ার হোসেন পান ২১৫ ভোট। অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে মো: নুরুল ইসলাম ইমন পান ৭৭ ভোট এবং মঈন উদ্দিন স্বপন পান ৪০ ভোট।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার রেদোয়ান খান জানান, সম্পূর্ণ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী নেতৃবৃন্দ কুলাউড়া উপজেলা বিএনপিকে আরও সংগঠিত, ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শেখ সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী, মোবাইলঃ 01712-823054
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।