
- মারজান চৌধুরী
সেনাবাহিনী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, “দেশ নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে। এই সময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। সেনারা দীর্ঘ সময় ধরে মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। তাই জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। যেখানে দূরত্ব রয়েছে, তা দূর করতে হবে।”
সেনাবাহিনী নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এসব মন্তব্য নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যারা এমন মন্তব্য করছে তাদের অনেকেই তরুণ। সময়ের সাথে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে এবং লজ্জিত হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “সেনাবাহিনী একটি পেশাদার সংগঠন। মাঠে দায়িত্ব পালনকালে প্রতিশোধমূলক কোনো কর্মকাণ্ডে জড়ানো যাবে না।”
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে একজন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “নির্ভুল ও নৈতিক আচরণ নিশ্চিত করা হবে, তবে মিডিয়া ট্রায়ালের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না।”
সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “একজন সেনা কর্মকর্তাকে গড়ে তুলতে রাষ্ট্র বিপুল অর্থ ব্যয় করে। অপরাধে জড়ানো মানে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়। ভুয়া তথ্য বা বিভ্রান্তিকর বার্তায় বিভ্রান্ত না হয়ে বাহিনীর ভাবমূর্তি রক্ষা করতে হবে। দেশের মানুষ এখন তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।”