Dhaka , বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা রুবাব চৌধুরী গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
  • ৫৮ Time View

স্টাফ রিপোর্টার:
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আহমেদ শাহনেওয়াজ মেহেদী হাসনাত চৌধুরী রুবাব (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪) আগস্ট সকাল ১১টায় সদর ইউনিয়নের করেরগ্রাম এলাকা থেকে কুলাউড়া থানার ওসি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক ফরহাদ মাতব্বর, এএসআই আব্দুর রহিম, এএসআই আব্দুল খালেক ও এএসআই তোফায়েল আহমেদসহ পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে রুবাবকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত রুবাব চৌধুরী কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের করের গ্রামের বাসিন্দা কবির আহমদ চৌধুরীর ছেলে। রুবাব সদর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে হাসনাত চৌধুরী রুবাব এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তার বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিল এলাকার সাধারণ
লোকজন। এলাকার সাধারণ লোকের কাছ থেকে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সমাধান করে দেবার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিশেষ করে বিগত সময়ে ইউনিয়নের জনতাবাজারসহ আশপাশের এলাকায় তার নেতৃত্বে মাদক, ইয়াবাসহ বিভিন্ন অপরাধের একটি কিশোর গ্যাংয়ের সিন্ডিকেট গড়ে উঠে। সে সবসময় গাঁজা ও মদপান করতো। তার সাথে থেকে এলাকার উঠতি বয়সী কিশোর ও যুবকরা মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা হলেই বাজারের বিভিন্ন স্থানে বসত গাঁজা ও মাদক সেবনের আড্ডা। ওইসময় এলাকায় এসব অপকর্মের বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। এখন তাকে গ্রেপ্তারে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ওমর ফারুক বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি রুবাবের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলার মামলা ছাড়াও অর্থ ঋণ আদালতের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকায় তার বিরুদ্ধে অনেক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকার লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা রুবাব চৌধুরী গ্রেপ্তার

Update Time : ০৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আহমেদ শাহনেওয়াজ মেহেদী হাসনাত চৌধুরী রুবাব (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪) আগস্ট সকাল ১১টায় সদর ইউনিয়নের করেরগ্রাম এলাকা থেকে কুলাউড়া থানার ওসি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক ফরহাদ মাতব্বর, এএসআই আব্দুর রহিম, এএসআই আব্দুল খালেক ও এএসআই তোফায়েল আহমেদসহ পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে রুবাবকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত রুবাব চৌধুরী কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের করের গ্রামের বাসিন্দা কবির আহমদ চৌধুরীর ছেলে। রুবাব সদর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে হাসনাত চৌধুরী রুবাব এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তার বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিল এলাকার সাধারণ
লোকজন। এলাকার সাধারণ লোকের কাছ থেকে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সমাধান করে দেবার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিশেষ করে বিগত সময়ে ইউনিয়নের জনতাবাজারসহ আশপাশের এলাকায় তার নেতৃত্বে মাদক, ইয়াবাসহ বিভিন্ন অপরাধের একটি কিশোর গ্যাংয়ের সিন্ডিকেট গড়ে উঠে। সে সবসময় গাঁজা ও মদপান করতো। তার সাথে থেকে এলাকার উঠতি বয়সী কিশোর ও যুবকরা মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা হলেই বাজারের বিভিন্ন স্থানে বসত গাঁজা ও মাদক সেবনের আড্ডা। ওইসময় এলাকায় এসব অপকর্মের বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। এখন তাকে গ্রেপ্তারে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ওমর ফারুক বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি রুবাবের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলার মামলা ছাড়াও অর্থ ঋণ আদালতের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকায় তার বিরুদ্ধে অনেক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকার লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।