Dhaka , সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ বাহারের মৃত্যুতে আব্দুল করিম নিপুর শোক প্রকাশ নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশনের মৌলভীবাজার জেলা শাখার নেতৃবৃন্দদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার অভিষেক ও আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত ভাটেরা মদিনাতুল উলুম সাইফুল তাহমিনা ফাযিল মাদরাসা তালামীযের কাউন্সিল সম্পন্ন কুলাউড়ায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুলাউড়ায় ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন কমলগঞ্জে নজরানা ট্রাস্টের সার্বিক সহযোগিতায় ও বন্ধনের উদ্যোগে “ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত সাংবাদিক মাহফুজ শাকিলের পিতার দাফন সম্পন্ন শ্রীপুর জালালিয়া কামিল (এম এ) মাদ্রাসায় কামিল শ্রেণির অনুমোদন উদযাপনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জ সামাজিক সংগঠন ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময়

স্বাধীনতার ঘোষক সংক্রান্ত পোস্টের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসিল্যান্ড প্রত্যাহার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • ২৪০ Time View

 

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২৬ মার্চ: স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনিরা কায়ছানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

 

২৬ মার্চ সকালে এসিল্যান্ড সিরাজুম মুনিরা কায়ছানের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করা হয়, যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

 

এই পোস্ট ঘিরে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিশেষ করে বিএনপি সমর্থকরা এই পোস্টের বিরোধিতা করেন এবং তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর পোস্টটি মুছে ফেলা হয় এবং সিরাজুম মুনিরা কায়ছান দাবি করেন যে, তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছিল।

 

ফেসবুক পোস্টের পর সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন এসিল্যান্ড সিরাজুম মুনিরা কায়ছান। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে তিনি অনুষ্ঠানস্থল থেকে ফিরে আসেন।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানিয়েছেন, ফেসবুক পোস্টের কারণে এসিল্যান্ডকে সরাইল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

 

তিনি আরও জানান, ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বাংলাদেশে স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল একটি ইস্যু। এই ঘটনার ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এখন দেখার বিষয়, তদন্ত শেষে সিরাজুম মুনিরা কায়ছানের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ বাহারের মৃত্যুতে আব্দুল করিম নিপুর শোক প্রকাশ

স্বাধীনতার ঘোষক সংক্রান্ত পোস্টের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসিল্যান্ড প্রত্যাহার

Update Time : ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

 

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২৬ মার্চ: স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনিরা কায়ছানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

 

২৬ মার্চ সকালে এসিল্যান্ড সিরাজুম মুনিরা কায়ছানের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করা হয়, যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

 

এই পোস্ট ঘিরে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিশেষ করে বিএনপি সমর্থকরা এই পোস্টের বিরোধিতা করেন এবং তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর পোস্টটি মুছে ফেলা হয় এবং সিরাজুম মুনিরা কায়ছান দাবি করেন যে, তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছিল।

 

ফেসবুক পোস্টের পর সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন এসিল্যান্ড সিরাজুম মুনিরা কায়ছান। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে তিনি অনুষ্ঠানস্থল থেকে ফিরে আসেন।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানিয়েছেন, ফেসবুক পোস্টের কারণে এসিল্যান্ডকে সরাইল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

 

তিনি আরও জানান, ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বাংলাদেশে স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল একটি ইস্যু। এই ঘটনার ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এখন দেখার বিষয়, তদন্ত শেষে সিরাজুম মুনিরা কায়ছানের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না।