
ঢাকা ওয়াসায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়াই ১৫০ জনকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমজনতার দল এই নিয়োগকে বিধিবহির্ভূত দাবি করে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। দলটি এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নিয়োগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সুপারিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বিশেষ করে,
🔹 যুব, ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের নাম রয়েছে বেশির ভাগ সুপারিশে।
🔹 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম, তৌহিদ ও নাজমুলের নামও সুপারিশকারীদের তালিকায় রয়েছে।
ঢাকা ওয়াসার দাবি: আউটসোর্সিং নিয়োগের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই
অন্যদিকে, ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ একটি প্রতিবাদলিপিতে জানিয়েছে,
✅ এই নিয়োগ তারা দেয়নি, বরং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করেছে।
✅ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানই অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ করেছে।
✅ এই নিয়োগের সঙ্গে ঢাকা ওয়াসার এমডি, ডিএমডি, সচিব বা কোনো উপদেষ্টার সম্পৃক্ততা নেই।
তবে আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও তাঁর পিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে বরখাস্ত ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন,
🔹 আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষা হয় না।
🔹 সংকটময় সময়ে জনবল সংকট মোকাবিলার জন্য সুপারিশের ভিত্তিতেই নিয়োগ দেওয়া হয়।
🔹 এই ঘটনায় ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ ও ‘চরিত্রহননের’ চেষ্টা চলছে।
এই অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে দুদকের ভূমিকা কী হবে, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা—তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই বাড়ছে। এই দুর্নীতি ধামাচাপা পড়বে, নাকি সত্য বেরিয়ে আসবে? সেটাই এখন দেখার বিষয়।