
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
সোমবার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও তাদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে জানান,
“১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটি ১৩ মার্চ উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে—
📌 হামলার সঙ্গে অনেক সাবেক শিক্ষার্থীও জড়িত।
📌 অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় কিছু সাবেক শিক্ষার্থীর একাডেমিক সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে—
🔹 নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়।
🔹 আহতদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে যেতে বাধা দেওয়া হয়।
🔹 এমনকি জরুরি বিভাগের ভেতরে আহত শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশ না করায় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এখন দেখার বিষয়, বিশ্ববিদ্যালয় কতটা ঠোর পদক্ষেপ নেয় এবং হামলার আসল ষড়যন্ত্রকারীরা বিচারের মুখোমুখি হয় কি না।