Dhaka , সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ বাহারের মৃত্যুতে আব্দুল করিম নিপুর শোক প্রকাশ নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশনের মৌলভীবাজার জেলা শাখার নেতৃবৃন্দদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার অভিষেক ও আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত ভাটেরা মদিনাতুল উলুম সাইফুল তাহমিনা ফাযিল মাদরাসা তালামীযের কাউন্সিল সম্পন্ন কুলাউড়ায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুলাউড়ায় ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন কমলগঞ্জে নজরানা ট্রাস্টের সার্বিক সহযোগিতায় ও বন্ধনের উদ্যোগে “ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত সাংবাদিক মাহফুজ শাকিলের পিতার দাফন সম্পন্ন শ্রীপুর জালালিয়া কামিল (এম এ) মাদ্রাসায় কামিল শ্রেণির অনুমোদন উদযাপনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জ সামাজিক সংগঠন ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময়

৯৫ দিন পর প্রশান্ত মহাসাগর থেকে উদ্ধার জেলে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • ৮৫ Time View

৯৫ দিন পর প্রশান্ত মহাসাগর থেকে উদ্ধার জেলে

 

প্রশান্ত মহাসাগরে ৯৫ দিন! অবশেষে বেঁচে ফিরলেন হারিয়ে যাওয়া পেরুর জেলে

সাগরের বিশাল নীল জলরাশি আর প্রলয়ংকরী ঢেউয়ের মাঝে একা ভেসে বেড়াচ্ছিলেন ম্যাক্সিমো নাপা কাস্ত্রো। বয়স ৬১ বছর। পেরুর মারকোনা শহরের এই জেলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য। কিন্তু প্রকৃতির প্রতিকূলতায় ৯৫ দিন ধরে হারিয়ে গিয়েছিলেন প্রশান্ত মহাসাগরের বিশালতায়।

 

গত ৭ ডিসেম্বর, প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে নৌকায় মাছ ধরতে বের হন নাপা কাস্ত্রো। তবে ১০ দিন পার হতেই প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় দিকভ্রান্ত হয়ে যান তিনি। একা, সাহায্যবিহীন, আশেপাশে শুধু সীমাহীন সমুদ্র—এ এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন!

 

তিন মাস ধরে তার পরিবারের মানুষজন আশা আর হতাশার দোলাচলে ছিলেন। কাস্ত্রোর মেয়ে ইনেস নাপা তোরেস এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন—

 

বাবা হারিয়ে যাওয়ার পর প্রতিটি দিন আমাদের জন্য যন্ত্রণার ছিল। আমরা কখনো ভাবিনি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবো। কিন্তু আশা ছাড়িনি

 

পরিবার, স্থানীয় জেলেরা, এমনকি পেরুর সামুদ্রিক টহল দলও দীর্ঘদিন ধরে তাকে খুঁজে বেড়িয়েছিল। কিন্তু কোথাও তার খোঁজ মেলেনি।

 

তবে ১১ মার্চ, প্রায় ৬৮০ মাইল দূরে তাকে জীবিত উদ্ধার করে ইকুয়েডরের একটি মাছ ধরার নৌকা। দীর্ঘ ৯৫ দিনের সেই লড়াইয়ের পর তিনি যখন উদ্ধার হন, তখন তীব্র পানিশূন্যতা ও দুর্বলতায় প্রায় মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিলেন।

 

৯৫ দিন একা এক ছোট নৌকায় কীভাবে টিকে ছিলেন নাপা কাস্ত্রো? তিনি কী খেয়েছিলেন? কেমন ছিল তার প্রতিটি রাত, প্রতিটি সকাল? নিশ্চয়ই সেসব মুহূর্ত ছিল আতঙ্ক আর বেঁচে থাকার এক অসম যুদ্ধ!

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ বাহারের মৃত্যুতে আব্দুল করিম নিপুর শোক প্রকাশ

৯৫ দিন পর প্রশান্ত মহাসাগর থেকে উদ্ধার জেলে

Update Time : ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

 

প্রশান্ত মহাসাগরে ৯৫ দিন! অবশেষে বেঁচে ফিরলেন হারিয়ে যাওয়া পেরুর জেলে

সাগরের বিশাল নীল জলরাশি আর প্রলয়ংকরী ঢেউয়ের মাঝে একা ভেসে বেড়াচ্ছিলেন ম্যাক্সিমো নাপা কাস্ত্রো। বয়স ৬১ বছর। পেরুর মারকোনা শহরের এই জেলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য। কিন্তু প্রকৃতির প্রতিকূলতায় ৯৫ দিন ধরে হারিয়ে গিয়েছিলেন প্রশান্ত মহাসাগরের বিশালতায়।

 

গত ৭ ডিসেম্বর, প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে নৌকায় মাছ ধরতে বের হন নাপা কাস্ত্রো। তবে ১০ দিন পার হতেই প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় দিকভ্রান্ত হয়ে যান তিনি। একা, সাহায্যবিহীন, আশেপাশে শুধু সীমাহীন সমুদ্র—এ এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন!

 

তিন মাস ধরে তার পরিবারের মানুষজন আশা আর হতাশার দোলাচলে ছিলেন। কাস্ত্রোর মেয়ে ইনেস নাপা তোরেস এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন—

 

বাবা হারিয়ে যাওয়ার পর প্রতিটি দিন আমাদের জন্য যন্ত্রণার ছিল। আমরা কখনো ভাবিনি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবো। কিন্তু আশা ছাড়িনি

 

পরিবার, স্থানীয় জেলেরা, এমনকি পেরুর সামুদ্রিক টহল দলও দীর্ঘদিন ধরে তাকে খুঁজে বেড়িয়েছিল। কিন্তু কোথাও তার খোঁজ মেলেনি।

 

তবে ১১ মার্চ, প্রায় ৬৮০ মাইল দূরে তাকে জীবিত উদ্ধার করে ইকুয়েডরের একটি মাছ ধরার নৌকা। দীর্ঘ ৯৫ দিনের সেই লড়াইয়ের পর তিনি যখন উদ্ধার হন, তখন তীব্র পানিশূন্যতা ও দুর্বলতায় প্রায় মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিলেন।

 

৯৫ দিন একা এক ছোট নৌকায় কীভাবে টিকে ছিলেন নাপা কাস্ত্রো? তিনি কী খেয়েছিলেন? কেমন ছিল তার প্রতিটি রাত, প্রতিটি সকাল? নিশ্চয়ই সেসব মুহূর্ত ছিল আতঙ্ক আর বেঁচে থাকার এক অসম যুদ্ধ!