কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। দেশীয় অস্ত্রের বর্বর আঘাতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর আহতদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
বুধবার (১২ মার্চ) রাত ১০টার পর যুবদলের নেতা রবিউল ইসলাম রবি ও বিএনপির বারেক প্রধানের অনুসারীদের মধ্যে এই ভয়ানক সংঘর্ষ শুরু হয়।
স্থানীয়দের মতে, রবি ও বারেক দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালু উত্তোলন ও নদীপথে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ অর্থের ভাগ নিয়ে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। দ্বন্দ্ব ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নেয় এবং একসময় তা রক্তাক্ত সংঘর্ষে গড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্র ও টেটা নিয়ে একে অপরের ওপর হামলে পড়ে। রাতের অন্ধকারে পুরো গ্রাম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, আতঙ্কে কাঁপে চারপাশ। বিচ্ছিন্ন অঞ্চল হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি করে, ততক্ষণে রক্ত ঝরতে থাকে।
মেঘনা থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, সংঘর্ষের পর এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শেখ সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী, মোবাইলঃ 01712-823054
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।