শিশুরা হলো নিষ্পাপ ফুল, পৃথিবীর সবচেয়ে কোমল প্রাণ। তাদের চোখের মায়ায় জগতের নিষ্ঠুরতাও যেন কোমল হয়ে যায়। কিন্তু কিছু অমানুষ, কিছু নরপিশাচ, এমন এক বিভীষিকাময় অন্ধকার নামিয়েছে যে, আছিয়ার মতো নিষ্পাপ ফুল এখন ধুঁকছে মৃত্যুর দোরগোড়ায়।
আজ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছে ছোট্ট আছিয়া। তার ছোট্ট হাত-পা অসাড় হয়ে আসছে, আর মায়াভরা চোখগুলোতে শুধুই ভয়! অসহ্য যন্ত্রণা আর দুঃস্বপ্ন তাকে তাড়া করে ফিরছে বারবার। ডাক্তাররা চেষ্টা করছেন, কিন্তু তার শরীর যে আর সইতে পারছে না!
কিন্তু কী দোষ ছিল তার? মাত্র কয় বছরের শিশু সে! পৃথিবীর নিষ্ঠুরতা বোঝার আগেই তাকে এমন অবর্ণনীয় যন্ত্রণার ভেতর ঠেলে দিল কিছু হিংস্র দানব!
চিকিৎসকরা যখন আছিয়ার শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিচ্ছিলেন, তখন তাদের কণ্ঠ কাঁপছিল! **“এমন অবস্থা সাধারণত কেউ টিকে থাকতে পারে না। এতটা নির্যাতনের পরও সে বেঁচে আছে, এটা আমাদের কাছেও বিস্ময়!”**—চোখের পানি আটকানোর চেষ্টা করছিলেন তারা।
ধর্ষকেরা শুধুমাত্র তাকে নির্মমভাবে আঘাত করেনি, বরং তার নিষ্পাপ শরীরকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে! আছিয়ার ছোট্ট শরীর তো এতটা সহ্য করার মতো ছিল না! তাই প্রথমেই ওরা ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করেছিল, যেন তার গোপনাঙ্গের গভীরতা বাড়ানো যায়! পাঁচ সেন্টিমিটার গভীর ক্ষত সৃষ্টি করা হয়েছিল কচি দেহে!
তারপর? তারপর শুরু হয়েছিল আরও ভয়ংকর নিষ্ঠুরতা! তার শরীরের গভীরে ক্ষত তৈরি করা হয়েছে, সূক্ষ্মভাবে, যেন কোনো ভয়ংকর শিকারির নিষ্ঠুর শাস্তি! রক্তাক্ত হয়ে পড়েছিল তার ছোট্ট দেহটা, ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছিল সে।
আর যখন সে কাঁদতে চেয়েছিল? তখনই এক নরপশু তার নাক-মুখ চেপে ধরল! যেন পৃথিবীর আলো বাতাস থেকে তাকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেবে! দম বন্ধ হয়ে আসছিল, তার ছোট্ট বুকের মধ্যে বাতাস আটকে যাচ্ছিল! আরেকটা হিংস্র হাত তখন তার গলা চেপে ধরেছিল—**“মেরে ফেলো, মেরে ফেলো!”
আছিয়া তখন নিস্তেজ হয়ে পড়ে, দম বন্ধ হয়ে যায়, মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে!
চিকিৎসকরা বহু ভয়ংকর দৃশ্য দেখেছেন, কিন্তু এমন কিছু? এমন নিষ্ঠুরতা? একজন ডাক্তার বলছিলেন—
“আমি জানি না এই মেয়েটা কীভাবে বেঁচে আছে! সাধারণত এমন অত্যাচারের শিকার হলে কেউ আর বাঁচে না! আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, কিন্তু এর শারীরিক ও মানসিক ক্ষত সারবে কিভাবে?”
তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, **“এই সমাজ কি সত্যিই মানুষদের নিরাপদ রাখতে পারবে?”
আছিয়া আজ বেঁচে থাকার জন্য লড়ছে, তার ছোট্ট শরীর আর সইতে পারছে না। কিন্তু আমাদের বিবেক? আমরা কি পারবো তাকে ন্যায়বিচার দিতে?
এই সমাজ কি পারবে সেই অমানুষদের এমন শাস্তি দিতে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো নিষ্পাপ শিশুকে এমন ভয়ংকর নির্যাতনের শিকার হতে না হয়?
নয়তো, আজ আছিয়া কাঁদছে, কাল হয়তো আরেকটি নিষ্পাপ মুখ আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে অসহায় চোখে। আর আমরা? কেবল খবর পড়ে শিউরে উঠবো, তারপর সব ভুলে যাবো!
না! এবার আমরা চুপ থাকতে পারি না! এই দানবদের এমন শাস্তি দিতে হবে, যাতে আর কোনো আছিয়ার আর্তনাদ আমাদের আকাশে প্রতিধ্বনিত না হয়!
সম্পাদক ও প্রকাশক: শেখ সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী, মোবাইলঃ 01712-823054
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।